ছবি: গ্লোবাল টিভি
কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ: শীতের আগমনী বার্তায় কদর বেড়েছে লেপ-তোশকের । এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোশকের দোকানের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিকরা।
নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চল সাপাহার উপজেলায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এলাকার রীতি অনুযায়ী শীতের সময় অধিকাংশ পরিবারের বাবা মায়েরা তাদের মেয়ে জামাই বাড়িতে শীতের লেপ-তোশক সহ শীত নিবারণের পোশাক ও দিয়ে থাকে, তাই শীতের আগমনী বার্তায় বেড়েছে এসব লেপ-তোশক ও শীতবস্তের চাহিদা ।
লেপ-তোশক ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, বছরের মাঝে কিছুটা অর্ডারী ছাড়া আমাদের লেপ-তোশক তেমন কেনাবেচা হয় না, আর শীত এলেই শুরু হয় ভালো বেচাকেনা, তাছাড়া টিকে থাকতে পারতাম না। শীতের প্রকোপ বাড়বে, মানুষ আরো বেশি করে লেপ-তোশক বানাবে, ভালো করে শীতের প্রস্তুতি নিবে এটাই তাদের চাওয়া। এরই মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য অর্ডার আস্তে শুরু হয়েছে এবং আমাদের কারিগরা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক ও বালিশ তৈরিতে। এছাড়াও স্থানীয় বাজারে ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দর্জির দোকান গুলোতে ও ব্যস্ততা বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরির পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদাও বেড়ে গেছে। এ দিকে খোলাবাজারে লেপ তোশক তৈরির তুলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি শিমুল তুলা ৪৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা ,গার্মেন্টস তুলা ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ফোম তুলা ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, সাদা হুল তুলা ১০০ টাকা কেজি, সাদা তুলা ৫৫ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ফজলুল করিম বলেন, গত বার ১৫০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ২২০০ টাকা খরচ পড়ছে। লেপ-তোশক ব্যবসায়ী কিশোর কুমার ভগদ জানান, তার দোকানে ১৫০ টি ছোট বড় আকারের লেপ তোশক স্টকে আছে। তিনি প্রতিদিন ভাগ ভাগ করে রোদে এগুলাকে শুকিয়ে রাখেন। তিনি আরো জানান, ধীরে ধীরে আমাদের বেচাকেনা বাড়ছে, তীব্র শীত পড়লে বেচাকেনা আরো বেশি বাড়বে।
এএইচ