ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বলেছিল দেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শুধু জমিয়ে রাখলে হবে না। সেটা কাজে লাগাতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতা অর্থপাচার, লুটপাট ও দুর্নীতির কথা বলে। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। অর্থপাচার মামলায় সে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত। অস্ত্র মামলারও আসামি। তাদের মুখে এই সমালোচনা মানায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টানিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে বিশ্ববাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের পরনির্ভরশীল থাকলে হবে না। আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘আমি যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে বলব, সবাই গ্রামে যান। গ্রামে গিয়ে সেখানে কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে, সেটা নিজেদের দেখতে হবে। নিজের জমি যেমন চাষ করতে হবে, অন্যের জমিতেও যাতে উত্পাদন হয়, সেই ব্যবস্থায় প্রত্যেক যুবলীগকর্মীকে কাজ করতে হবে। যখন সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি, বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। তার জন্য আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
যুব মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
এদিকে, যুবলীগের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ছুটির দিনেও রাজধানীতে ছিল গণপরিবহনের সংকট। বিআরটিসি বাসসহ বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। গণপরিবহনের সংকট থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। শাহবাগ, মিন্টো রোড ও মত্স্য ভবনসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথের বিভিন্ন প্রান্তে ডাইভারশন ছিল। এতে বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও বাংলামটরে তীব্র যানজট দেখা যায়।
এএইচ