ফাইল ছবি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বাংলাদেশে গড় আয়ু প্রায় সাড়ে ৫ বছর বাড়বে।
আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) একটি মার্কিন গবেষণা দলের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যানুযায়ী বর্তমানে দেশের গড় আয়ু ৭২.৮ বছর।
এ বিষয়ে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এমন সব এলাকায় বাস করে যেখানে বার্ষিক গড় কণা দূষণের মাত্রা দেশের নিজস্ব মান (১৫μg/m³) এবং ডব্লিউএইচও-এর নির্দেশিকা (১০μg/m³) উভয় ছাড়িয়ে গেছে।
ইপিআইসি’র গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটিতে ধুলি-কণা দূষণের মাত্রা ডব্লিউএইচও-এর সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় কমপক্ষে তিনগুণ বেশি।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ ভারত। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড় পিএম ২.৫ (সূক্ষ্মকণা) ঘনত্ব রেকর্ড করেছিল।
এমনকি চট্টগ্রামেও, যেখানে বাতাসের মান জাতীয় গড়ের চেয়ে ভালো, সেখানেও দূষণের কারণে ৩.৬ বছর গড় আয়ু হারিয়ে ফেলছে সবাই।
বাংলাদেশের সবচেয়ে দূষিত জেলাগুলো হল- খুলনা, রাজশাহী, যশোর, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, ঢাকা এবং গাজীপুর। এ সকল স্থানে পিএম.২.৫-এর ঘনত্ব জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
ইপিআইসি'র গবেষণায় বলা হয়, তারা মনে করেন এই দেশগুলোতে গড় আয়ু ৬.২ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে যদি দেশগুলো ডব্লিউএইচও দ্বারা প্রস্তাবিত বায়ুর গুণমান উন্নত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কঠোর নীতির মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি নিঃসরণ কমানো যেতে পারে এবং এটি জলবায়ু প্রশমিত করতেও সাহায্য করে যা আয়ু বৃদ্ধিতে কার্যকরী।
গবেষণার ফলাফলে পৌঁছানোর জন্য ইপিআইসি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘমেয়াদী বায়ুদূষণের বিভিন্ন স্তরের সংস্পর্শে আসা মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান তুলনা করেছে।
এমএস/জেইউ