ছবি: লেখক
গাফফার আলী খান : ০৪ আগস্ট ২০০৮। কলকাতায় পিয়ারলেস হসপিটাল সংলগ্ন রাজ ভিলায় (১৪/এ বাঘাযতিন পার্ক হাউজিং সোসাইটি), থাকাকালে আমার পাশের রুমে পিয়ারলেস হসপিটালে চিকিৎসার জন্য বিমল সেন (৪৫) নামে একজন ছিলেন। তাঁর সংক্রমণ, চুলকানি,সন্ধাকালিন জ্বর, বমি ইত্যাদি ছিলো। তিনি পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। বাড়ি ছিল সুন্দরবন নামক এলাকায়।
বিমল সেন আমার পাশের রুমে থাকার কারণে একদিন সন্ধ্যার সময় বমি করছেন আর হাফাচ্ছেন, টের পেলাম। গিয়ে দেখলাম শরীরে জ্বরও অাছে। তাতক্ষণিক আমি বিমলের সহযোগী প্রতাপকে হোটেলের পেছনে বেড়ে ওঠা একটা গাছ দেখালাম। আর বললাম, এর পাতা ছেঁচে ৫০ গ্রাম রস পান করালে বিমল আপাতত কিছুটা স্বস্তি পাবেন । কথা মতো প্রতাপ বিমলকে ৫০ গ্রাম পরিমান পাতাটির রস পান করালেন । কিছুক্ষণ পর বিমলের শুকনো বমি থেমে গেল , শরীর ঘামতে শুরু করল। তারপর ঘুমিয়ে গেলেন।
সকালে আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই বিমল আরো ৫০ গ্রাম রস খেয়ে সকালের নাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় ২টি পরোটা বেশী খেয়েছেন। এবং বিমলের শারীরিক অবস্থাও ভাল মনে হচ্ছে। বিমল আমাকে দেখেই কথাগুলো বলতে লাগলেন। বললেন, বাংলাদেশি দাদা, এই পাতাটার নাম কী? আমি বললাম, নাম জানি না। তবে দেশের গ্রামাঞ্চলে এটাকে অনেকে জার্মান পাতা কিংবা এই ধরনের আরো কিছু নামে চেনে। আমি ছোটবেলায় দেখতাম, জ্বর , শ্বাসকষ্ট,পাতলা পায়খানা, বমি, হলে আমার ফুফু এই পাতার রস খাওয়াতেন। আপনার বমি ও জ্বর দেখে আপনাকে খাওয়ালাম। উপকৃত হলে অন্য জনেরও উপকার করবেন ।
বিমল সেন ঐ দিন রাজ ভিলা ত্যাগ করলেন। অতঃপর ৩ অক্টোবর আমার আর্ট একজিবিশন। বিড়লা একাডেমী অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার, লেক কালি বাড়ি। তখন বেলা ২টা বাজে। আমি ও আমার সহধর্মিনী পাশের একটা রেস্তুঁরায় খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিমলের দেখা। বিমল আমাকে দেখেই বললেন, আরে বাংলাদেশি দাদা , ভালো আছো? কুশল বিনিময়ের পর বিমল আমার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বললেন, দাদা পিয়ারলেস হসপিটালের ডাক্তার বলেছিলো, আমার HIV/ AIDS হয়েছে! তোমার ঐ পাতার রসটা আমি এখনও প্রতিদিন খাচ্ছি। আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সমস্যা আর নেই ।
তার পর থেকেই আমি পৃথিবীর সকল স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানালাম। ২০০৮ সন থেকে ২০২০ সন। ফেসবুক , টুইটার, লিংকড ইন, ইমেইল-এর মাধ্যমে প্রচার করে আসছি। আজ পর্যন্ত কেউ কোন সাড়া দেয়নি ।
আজ এই মহামারি করোনার মহামারি কালেও আমি বলছি, এই পাতার ৫০ গ্রাম রস COVID 19 -এর প্রতিষেধক হিসেবেও সক্রিয় ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আপনারা একটিবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ক্ষতি তো হবে না। তাই অবহেলা না করে চেষ্টা করতে দোষের কিছু নেই বলে আমি মনে করি।
গাফফার আলী খান: ভাস্কর।