- করোনা প্রতিরোধে ৬৪ সচিবকে ৬৪ জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে
- করোনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মৃত্যু
- প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউপি নির্বাচন স্থগিত করল ইসি
- ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন
- ডি-৮ সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- লকডাউন: কর্মহীনদের জন্য বরাদ্দ ৫৭২ কোটি টাকা
- ৫ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের সেনাপ্রধান
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ পেলো বাংলাদেশ
গ্লোবালটিভিবিডি ২:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১

ফাইল ছবি
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট কমিটি-সিডিপি বাংলাদেশসহ তিনটি দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে। তবে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে বের হবে ২০২৬ সালে।
জনগণের মাথাপিছু গড় আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি সূচক বিবেচনা করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রথমবারের মত উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে।
২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৭৫ দশমিক তিন, যেখানে উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রয়োজন ৬৬। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৫ দশমিক ২। উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তা ৩২ পয়েন্টের নীচে থাকতে হয়।
জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোন দেশ পরপর দুইটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো এই মানদণ্ডগুলো অর্জনে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি, ইউএন-সিডিপির পাঁচদিন ব্যাপী ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভা শেষে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ দেয়।
সিডিপির পর্যালোচনা অনুযায়ী, তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করেছে। চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশকে তৃতীয় ধাপ পার করতে হবে। ২০২৪ সালে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তা বাড়িয়েছে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি, ইউএন-সিডিপি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের অ্যাটলাস পদ্ধতিতে যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৫ ডলারের কম, সেগুলোকে নিম্ন আয়ের দেশ বলা হয়। মাথাপিছু আয় ১,০৪৫ থেকে ৪,১২৫ ডলার হলে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ও ৪,১২৬ থেকে ১২,৭৪৫ ডলারের মধ্যে থাকলে তাকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ বলা হয়। এর ওপরে যাদের মাথাপিছু আয় তাদের উন্নত দেশ বলা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত এই তিন ভাগে ভাগ করেছে। ইকোসোকের উন্নয়ন নীতিমালা বিষয়ক কমিটি (সিডিপি) তিনটি সূচকের ভিত্তিতে তিন বছর পর পর এলডিসির তালিকা তৈরি করে থাকে।
এমএস/জেইউ
আরও খবর :
