গাজীপুরে বিউটি পার্লারের কাজের আড়ালে নারী কর্মীকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার স্থানীয়রা বাসন থানায় অভিযোগ করেন, আনন্দ বিউটি পার্লারের আড়ালে কর্মীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ করাচ্ছেন কাউন্সিলর রোজী। স্থানীয়দের এমন অভিযোগে ওই পার্লার থেকে এক নারী কর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার বাসন থানায় রোজী ও নগরীর গ্রেটওয়াল সিটির মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নূরুল হক (৬৫) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

বাসায় আটকে রেখে বিউটি পার্লারকর্মী এক কিশোরীকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী ও বাড়ির কেয়ার টেকার নুরুল হকসহ আজ্ঞাত আরো দুই-তিন জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার জিএমপি’র বাসন থানায় মামলা দায়ের করেন ঐ কিশোরী। বাসন থানা পুলিশ নুরুল হককে গ্রেফতার করলেও ঘটনার পর থেকেই কাউন্সিলর রোজী পলাতক ছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে নারী কাউন্সিলর রোজী চান্দনা চৌরাস্তার রহমান শপিংমলে তাঁর পরিচালিত আনন্দ বিউটি পার্লারে তাকে চাকরি দেন। কিছু দিন পর ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে নিয়ে তাঁকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হয়। পাশাপাশি তাঁকে কাজের মেয়ের পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করা করা হতো। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়া হতো।

জিএমপির উপকমিশনার জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। 

রোজীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটির মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

এএইচ/জেইউ