ঢাকা
- বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির ৫ দিনের কর্মসূচি
- ‘রায়’ বাংলায় লিখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুম্পার মৃত্যু: তদন্ত শুরু
- মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসবেন মোদি প্রণব সোনিয়া
- ৩২ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে বিক্রি ২৩০ টাকায়
- কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা ভবনে আগুন
বাংলাদেশে শনিবার সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
গ্লোবালটিভিবিডি ৬:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৮, ২০১৯

ফাইল ছবি
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে ওইসব এলাকায় থাকা ১ হাজার ৩৭৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শুক্রবার সকাল ৬টায় মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং ভারতের ওডিসা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পরে শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাঠানো এক বুলেটিনে দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতের পরিবর্তে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম এবং পূর্ব-কেন্দ্রে থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজর বন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে এ বুলেটিনে বলা হয়।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, বিকেল ৪টায় খুলনা সার্কিট হাউজে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব মোকাবিলা ও সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করে জেলা প্রশাসন। জানিয়েছে ইউএনবি’র খুলনা প্রতিনিধি।
ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ৩৩৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন, বলেন তিনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকী এক জরুরি সভায় জানান, জেলায় ৬৬৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, আটটি কন্ট্রোল রুম, ৪৯ মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৯২টি মেডিকেল দল, ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত আছেন।
পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রাখার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. বদিউজ্জামান বলেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে এবং স্বেচ্ছাসেবীরা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষকে নিরাপদ অঞ্চলে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসন সুন্দরবনের দুবলার চরের ঐতিহ্যবাহী ‘রাশ মেলা’ উৎসব স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৯টি উপজেলা ও জেলা সদরে ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেখানে উপকূলীয় অঞ্চলের ২.২৬ লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবেন। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিকেল দল, ফায়ার ব্রিগেড, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবীরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। সূত্র: ইউএনবি
এমএস
আরও খবর :
